Recents in Beach

ওহুদ যুদ্ধের এক বীরাঙ্গনা রমণী “নাসিবা (রাঃ)” এর ইতিহাস - Islamic Stories

ওহুদ যুদ্ধের এক বীরাঙ্গনা রমণী নাসিবা (রাঃ)এর ইতিহাস

ওহুদ যুদ্ধের এক বীরাঙ্গনা রমণী “নাসিবা (রাঃ)” এর ইতিহাস - Islamic Stories
ওহুদ-যুদ্ধের-এক-বীরাঙ্গনা-রমণী-“নাসিবা (রাঃ)”-এর ইতিহাস - Islamic Stories 


ওহুদের ময়দানে এক মানবী মহা পরাক্রমশালী বীর পুরুষের ন্যায় লড়াই করেছিলেন। এই বীরাঙ্গনার নাম “নাসিবা (রাঃ)”। নাসিবার জামাই ও পুত্রদ্বয় ওহুদের যুদ্ধে  করলে নাসিবা (রাঃ) নিশ্চেষ্টভাবে গৃহে বসে থাকা অপেক্ষা যুদ্ধে গমন করা শ্রেয় বলে স্থির করলেন এবং আঘাতগ্রস্থ মুসলমান সৈনিকদেরকে পানি প্রদান করার জন্যে মশক আনয়ন পূর্বক আহত সৈনিকদেরকে উহা প্রদান করছিলেন। তবুও যখন মুসলমানদের দরিদ্র অবস্থা, তখন নাসিবা আর অটল থাকতে পারলেন না।


 এক আহত সৈনিকের হাত থেকে তরবারী বরণ করে শত্রু সৈন্যকে আক্রমণ করতে প্রবৃত্ত হলেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) স্বয়ং মুছে হতে এই বীর রমণীর সৌর্য্য স্পার্ম দর্শন করছিলেন। রণক্ষেত্রে নাসিবা তাঁর পুত্রদ্বয়কে নিয়ে হযরতের সম্মুখেই যুদ্ধ করছিলেন। তাঁর হস্তে ঢাল ছিল না। এজন্য হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) একজন সৈনিককে বললেন, “নাসিবাকে একখানি ঢাল দিয়ে এসো।” সৈনিক হযরতের আদেশে এক খানি ঢাল নিয়ে নাসিবার নিকটে নিক্ষেপ করলে নাসিবা (রাঃ) সেই ঢাল তুলে নিয়ে ক্রুদ্ধা সিংহীর ন্যায় সদর্পে পরিভ্রমণ করে কুরাইশদের অস্ত্রাঘাত করতে লাগলেন।


সেই সময় একজন কুরাইশ অশ্বারোহী নাসিবার উপরে তরবারির আঘাত করল, কিন্তু নাসিবা স্বীয় হস্তস্থিত ঢাল কর্তৃক আঘাত অসমর্থ করে দিলেন এবং তৎক্ষণাৎ শত্রুর ঘোড়ার ওপর তরবারী দিয়ে প্রহার করলেন। এতে অশ্বটা দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। কুরাইশ সৈন্য পতনোন্মুখ তুরঙ্গ থেকে লম্ফ দিয়ে ভূমিতে দণ্ডায়মান হল। হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুছে থেকে এ বিষয়টি দর্শন করে নাসিবার পুত্র আবদুল্লাহকে মায়ের সাহায্যার্থে যেতে আদেশ করলে আবদুল্লাহ ফাস্ট পদে মায়ের নিকটে উপস্থিত হন। সেই সময় নাসিবা পুত্রের সহায়তায় সেই কুরাইশকে আক্রমণপূর্বক তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলেন।


একজন কুরাইশের অস্ত্রের আঘাতে আবদুল্লাহর অধিক শোণিত পাত হওয়াতে উনি অসমর্থ হয়ে ভূতলে পতিত হলেন। তদ্দর্শনে নাসিবা পুত্রের কাছে  করে বললেন, ”বৎস! উঠ। শত্রুর সঙ্গে সংঘাত কর। আমার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে ধূলির শয্যায় শয়ন করা কক্ষনো তোমার পক্ষে সমীচীন নয়।” কথা শুনে আবদুল্লাহ মহা বিশেষ প্রবৃত্তি সহকারে দণ্ডায়মান হয়ে শত্রু সংহারে প্রবৃত্ত হলেন। মুহাম্মাদ (সাঃ) এ মানবীর সাহস, ক্ষমতা, তেজ আর বীরত্ব দেখে সেই বীরাঙ্গনার জন্য প্রাণ উজার করে দোয়া করেছিলেন।

ভাল লাগলে কমেণ্ট, শেয়ার ও ব্লগটি ইমেল যোগে ফলো করুন। ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ