জ্বীন জাতির ক্ষতি থেকে আমাদের বাঁচার উপায় জেনে নিন
![]() |
জ্বীনের -পা - Islamic Stories |
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ,
সম্মানিত কথক আমাদের চলাপিরায় নানাভাবে আমরা জিন জাতি দ্বারা সমস্যায় পড়ে থাকি। তা হতে বাঁচতে হলে আমাদের কয়েকটি নিয়ম-কানুন মেনে চলা উচিত। নিন্মে তা ডিটেইলস আলোচনা করা হলো—
রাতে কখনো, চিত হয়ে ঘুমাবেন না! আর যদি ভয়ের কল্পনা দেখেন!তা'হলে উঠে বুকের বাম পাশে ধীরে আস্তে করে ৩ বার থুতু দিবেন।- (সহীহ্ বুখারী শরীফ)
যদি রাতে দেখেন, উদ্ভিদের কোন ডাল বা বাঁশ ঝুকিয়ে পরেছে! তবে তার ওপর দিয়ে যাবেন না! আ'য়াতুল কুরসি পড়বেন! তা'হলেই দেখবেন, আবার নির্ভুল হয়ে গেছে! সেই সময় যাবেন। রাতেরবেলা নিঃসঙ্গ নিঃসঙ্গ হাটলে যদি বুঝতে পারেন, পিছে কেউ আছে, তাইলে কেবল ঘাড় ঘুরাবেন না। পুরো দেহ ঘুরিয়ে দেখবেন! গলা ঘুরালে মটকে দেবার সম্ভাবনা আছে।
বিছানার উপর সাপ দেখতে পেলে পূর্বেই মারবেন না! আপনার লস থেকে পারে । আগে চলে যেতে বলবেন! কারণ, জ্বীন! সাপের রুপ ধারন করে! মারা'মারি করতে গিয়ে, আপনি মারাও যেতে পারেন! কারণ, এক সাহাবী এক সাপের রুপ ওয়ালা, জ্বীনের সাথে মারা'মারি করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন! আর যদি চলে না যায়, তবে বুঝবেন সত্যি ওটা সাপ! সেই সময় মারবেন, বা তাড়িয়ে দিবেন।
শুধু অতল রাতেরবেলা যদি যে'কেউ, বাহির থেকে আপনার নাম ধরে ডাকলে উত্তর দিবেন না! ৩ বার ডাকার পর উত্তর দিবেন।
গাছে ভিতরে যদি কয়েকটি বসা দেখতে পান, তা'হলে তার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না! চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবেন।
যদি নিঃসঙ্গ রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন, আপনিই রুমে বসে আছেন! মানে নিজেকে নিজেই দেখতে পারেন! তা'হলে ভয় পাবেন না! ওটা আপনার সঙ্গে থাকা জ্বীন(ক্বা'রিন জ্বীন)। শুধু চোখ অফ করে, আ'য়াতুল কুরসি পড়বেন, তার পর চক্ষু খুলবেন।
পুকুরে গোছল করতে নেমেছেন, যদি বুঝতে পারেন, কেউ আপনার চরণ ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে! তবে প্রথমে চিৎকার দিবেন! তার পর সঙ্গে সঙ্গে দো'আয়ে ইউনুস পাঠাভ্যাস শুরু করবেন! রিজন জলাশয়ে বা নদী তে জ্বীন থাকে।
রাতে ঘুমের ভিতরে যদি বুঝতে পারেন? আপনার হৃদয়ে কেউ ভর করে আছে! কিন্তু চিৎকার দিবেন না! চিৎকার দিলে কোন লাভ হবে না! রিজন আপনার চিৎকার মুখ দিয়ে বের হবে না! আপনার যানা যেকোনো সুরা পাঠ করবেন! রেহাই পেয়ে যাবেন ।
যদি দেখেন আপনি রাতের বেলা'তে রাস্তা ভুলিয়ে যাচ্ছেন বা একই পথে বার বার ফিরিয়ে আসছেন বা প্রচুর দূর যাওয়া পরও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছেন না! কিন্তু আজান দিবেন । তা'হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে । গায়রান নামক জ্বীন আপনাকে এ ধকায় ফেলেছে।
যদি রাতের বেলা একা কেবল দেখতে পারেন, কুকুর আপনার নিকট আক্রমণ করতে আসছে আর কুকুর টা কে; যদি আশ্চর্য মনে হয়! তা'হলে যথাক্রমে মাটিতে একটা সারকেল আঁকাবেন এ সারকেলের ভিতর দাঁড়িয়ে আয়াতুল কুরসি পড়বেন! তা'হলে আর সমস্যা হবে না, ইন শা আল্লাহ্।
মরা মানুষের আত্মা যদি দেখতে পারেন, তা'হলেও ভয় পাবেন না! ওটা আত্মা নয়!! জ্বীন! ঐ মরা মানুষের রূপ ধারণ করেছে! কেবলমাত্র অভিবাদন দিয়ে চলে যাবেন।
গভীর রাতে নিঃসঙ্গ রাস্তায় হাঁটার সময় যদি দেখেন, কালো কুকুর বা কালো বিড়াল! আপনার বাম পাশ থেকে, আপনাকে ক্রস করার ট্রাই করছে, তবে ক্রস করতে দিন! কোন সমস্যা নেই! এটা সমাজের কুসংস্কার! তবে তাকে মারবেন না।
অনেকেই বলে, কবরস্থান একটা পবিত্র স্থান! কথাটি ঠিক, তবে কবরস্থানে ঘুল নামক জ্বীন থাকে! এইজন্য পবিত্র জায়গা হলেও সর্তকের সঙ্গে চলবেন।
আয়নার মধ্যে জ্বীন প্রবেশ করতে পারে! এইজন্য অতল রাত্রিতে আয়না না দেখাই ভাল! আর আয়না তে সকল সময় পর্দা দিয়ে ডেকে রাখবেন! বাথরুমে আয়না ,না রাখাই ভালো; রিজন বাথরুমে খান্নাস নামক জ্বীন থাকে! যদিও দুর্বল জ্বীন! আর আয়নার সম্মুখে গিয়ে এ দো'আ পাঠ করবেন; اللهم حسنت خلقى فحسن خلقى :
বাসার ছাদের উপর জ্বীন বস'বাস করে! এজন্য অগাধ রাতে একা-একা কেবল ছাদে যাবেন না । গেলে কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন।
অতিরিক্ত করবেন না! আমাদের মাঝে ভিতরে রাগ, এতো'টাই বেড়ে যায়, যে; মুখ দিয়ে কথা আটকে আটকে যায়! এ রাগের কারণে জ্বীন আপনার দেহে প্রবেশ করতে পারে! এইজন্য রাগ হলে বসে পরবেন, বা বসে থাকলে দাঁড়িয়ে যাবেন! তা'হলেই জ্বীন প্রবেশ করতে পারবে না ।
যদি আপনি কেবল একা-একা কোন মিষ্টি বা পিঠা জাতীও কিছু খেতে থাকেন , এবং দেখলেন; যে কোন বিড়াল আপনাকে ডিস্টার্ব করছে! তবে তাকেও খেতে দিন! কখনোই তাড়িয়ে দিবেন না বা মারবেন না! কারণ কোন সময় জ্বীনও এ আকৃতি গ্রহণ করে আসে ও মিষ্টি জাতীও ব্যাপার তাদের প্রিয় খাবার।
মাগরীবের সময়, রাত ২/৩ টা এবং আমাবস্যার সময়, জ্বীন দের ইফেক্ট অধিক থাকে! তাই, এ সময় সর্তক থাকবেন! ছোট বাচ্চাদের নিরাপদে রাখবেন, ও মাগরীবের সময় বিসমিল্লাহ্ বলা হয়ে থাকে কক্ষের দরজা অফ করে দিবেন।
প্রতিনিয়ত যদি ভয়ের কল্পনা দেখেন ,ও প্রতিনিয়ত দেখেন যে ওপর থেকে পাদদেশে পরে যাচ্ছেন! তা'হলে আপনি ব্ল্যাক ম্যাজিকে আক্রান্ত।
প্রিয় পাঠক, আপনাদের খুশি জীবনই আমাদের কাম্য।
দো'আন্তেঃ মোঃ আলী আজগর
0 মন্তব্যসমূহ