দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার নারী
![]() |
দুনিয়ার-সর্বোত্তম-সম্পদ-নেককার-নারী - Islamic Stories |
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“পুরো দুনিয়া ভোগের সামগ্রী, আর সবচেয়ে’ উপভোগ্য ধন হল নেককার নারী।”
Watch the video below
www.facebook.com/MappilaMedia
https://www.facebook.com/MappilaMedia/videos/1026870387466127/?t=26
বুখারি এবং মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “চারটি গুণ দেখে নারীদের বিবাহ করা হয় তা হলো, সম্পদ, বংশ মর্যাদা, সৌন্দর্য ও দীনদারি। কিন্তু ধার্মিকতার দিক প্রাধান্য দিয়েই তুমি কামিয়াব হও নয়তো তোমার হাত ধুলি ধুসরিত
হবে।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “চারটি বস্তু কল্যাণ লক্ষণ।
যথা :
১. নেককার নারী,
২. প্রশস্ত ঘর,
৩.সৎ প্রতিবেশী,
৪. সোজা প্রকৃতির আনুগত্যশীল-পোষ্য বাহন।
পক্ষান্তরে অপর
চারটি বস্তুত্ কুলক্ষণা। তার মধ্যে একজন বদকার নারী।”
এসব আয়াত ও হাদিস পুরুষদের যেমন নেককার রমণী গ্রহণ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে, তেমনি ঝোঁক দেয় নারীদেরকে অনুকরণীয় বিষয় মহিলার গুনাবলী অর্জনের প্রতি। যাতে তারা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয় নেককার মেয়ে হিসেবে পরিগনিত থেকে পারে।
প্রিয় মুসলিম বোন, তোমার সম্মুখে সে উদ্দেশেই নেককার নারীদের গুণাবলী পেশ করা হচ্ছে। যা চয়ন করা হয়েছে কুরআন, হাদিস ও পথিকৃৎ আদর্শবান নেককার আলেমদের বাক্য ও পরামর্শ থেকে। তুমি এগুলো শিখার ব্রত গ্রহণ কর। সঠিক রূপে এর অনুশীলন আরম্ভ কর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ইলম আসে শিক্ষার মাধ্যমে। শিষ্টচার আসে সহনশীলতার মাধ্যমে। যে মঙ্গল খোজ করে, স্রষ্টা তাকে সুপথ দেখান।” নেককার নারীর গুণাবলি :
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
ﺕﺎﺤﻟﺎﺼﻟﺎﻓ ﺕﺎﻈﻓﺎﺣ ﺕﺎﺘﻧﺎﻗ ﺐﻴﻐﻠﻟ ﺎﻤﺑ ﻆﻔﺣ .ﻪﻠﻟﺍ ﺀﺎﺴﻨﻟﺍ :৩৪)
ইবনে কাসির রহ. লিখেন,ﺕﺎﺤﻟﺎﺼﻟﺎﻓ শব্দের অর্থ নেককার নারী, ইবনে আব্বাস এবং আদার্স মুফাসসিরের মতে ﺕﺎﺘﻧﺎﻗ শব্দের টাকা-পয়সা স্বামীদের আনুগত্যশীল নারী, আল্লামা সুদ্দি ও অন্যান্য মুফাসসির বলেন ﺕﺎﻈﻓﺎﺣ
ﺐﻴﻐﻠﻟ শব্দের অর্থ বরের অনুপস্থিতিতে নিজের সতীত্ব ও স্বামীর ধন রক্ষাকারী নারী।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা রাখে, ব্যক্তিগত লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং বরের আনুগত্য করে তাকে হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমাদের সেসব বিবি জান্নাতি, যারা মমতাময়ী, অধিক সন্তান প্রসবকারী, পতি- সঙ্গ প্রিয়Ñ যে জামাই গোস্বা করলে সে তার হাতে হাত রেখে বলে, আপনি সুখী না হওয়া পর্যন্ত, আমি দুনিয়ার কোন স্বাদ গ্রহণ করব না।”
সুনানে নাসায়িতে আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একদা জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কোন নারী সব চেয়ে ভাল? তিনি বললেন, “যে রমণী জামাইকে আনন্দিত করে, যখন জামাই তার দিকে দৃষ্টি দেয়। যে মানবী জামাইয়ের আনুগত্য করে, যখন স্বামী তাকে নির্দেশ দেয়, যে ললনা জামাইয়ের ধনদৌলত এবং ব্যক্তিগত নফসের ব্যাপারে, এমন কোনো
কর্মে লিপ্ত হয় না, যা বরের অপছন্দ।” হে মুসলিম নারী, নিজকে একবার পরখ কর, চিন্তা করে দেখ এর সঙ্গে তোমার অভিন্নতা বিদ্যমান কতটুকু। খোদাকে সন্তুষ্ট করার উপায় ফলো কর। দুনিয়া-আখেরাতের অনুগ্রহ অর্জনের প্রতিশ্রুতি স্বীকার কর। ব্যক্তিগত স্বামী এবং সন্তানের বিষয়ে যত্নশীল হও।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক নারীকে জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কি বর আছে? সে বলল হ্যাঁ, রাসূল বললেন, তুমি তার কাছে কেমন? সে বলল, আমি তার সন্তুষ্টি অর্জনে কোন ত্র“টি করি না, কিন্তু আমার সাধ্যের বাইরে হলে আরেক কথা। রাসূল বললেন, টার্গেট রেখ, সে-ই তোমার জান্নাত বা জাহান্নাম।”
উপরের আলোচনার আলোকে নেককার নারীর গুণাবলি :
১. নেককার : ভাল কাজ সম্পাদনকারী এবং স্বয়ং রবের হক আদায়কারী নারী।
২. আনুগত্যশীল : বৈধ কাজে স্বামীর আনুগত্যশীল নারী।
৩. সতী : নিজ নফসের হেফাজতকারী নারী, বিশেষ করে বরের অবর্তমানে।
৪. হেফাজতকারী : স্বামীর ধন এবং নিজস্ব সন্তান হেফাজতকারী নারী।
৫. আগ্রহী : বরের লাইকের কাপড় এবং সাজ গ্রহণে আগ্রহী নারী।
৬. সচেষ্ট : জামাইয়ের গোস্বা দমনে সচেষ্ট নারী। রিজন হাদিসে এসেছে, স্বামী নারীর জান্নাত বা জাহান্নাম।
৭. সচেতন : স্বামীর চাহিদার প্রতি সচেতন নারী। বরের সাধ পূর্ণকারী।
যে মহিলার মধ্যে এসব গুণ বিদ্যমান, সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষ্য মতে জান্নাতী। উনি বলেছেন, “যে মেয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রমজানের রোজা রাখে, নিজস্ব সতীত্ব হেফাজত করে এবং স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ কর।”
0 মন্তব্যসমূহ